মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয় এখন নেতা-কর্মীদের রক্তে লাল হয়ে রয়েছে। শনিবার রাতে আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা মার্কার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হানিফ খান সহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে তাদের গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় নৌকা মার্কার প্রার্থী সহ আহত স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের রক্তে ভিজে যায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের ভিতরেও ভাংচুর করে। সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা বাজারের এ হামলায় কদমতলা আওয়ামীলীগে মনোনিত নৌকা মার্কার প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হানিফ খান সহ আরো ৬ জন গুরুতর আহত হয়।
আহতরা হলো মিজান শেখ (৩৮) সদর উপজেলার কদমতলা এলাকার সোবাহান শেখের ছেলে, মুনান খান (১৯) চলিশা এলাকার আফতাব আলীর ছেলে, লিটন খান (৪০) সদর উপজেলার কদমতলা এলাকার মো: আলী খান এর ছেলে ,তন্ময় গাজী (২০) সদর উপজেলার চলিশা এলাকার টেনু গাজীর ছেলে, তাজুল ইসলাম (২২) সদর উপজেলার নামাজপুর এলাকার মো: রাকিব শেখের ছেলে।
আহতরা পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিজান শেখ ও মুনান খান উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খান জানান, তিনি আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা ঈদের পরে কুশল বিনিময়ের জন্য ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়। এ সময় রাত সাড়ে ৮ টার দিকে স্থানীয় বায়জিদ ও সিহাবের নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ সিকদার, সজিব সিকদার, বক্কর, সোহেল খান, ফারুক, সাহেদ, বাবুল, শহীদ, আনিচ, এনায়েত সিকদার সহ প্রায় ৫০/৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা তার উপর সহ আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের উপরে বোমা নিক্ষেপ করে এবং গুলি করে। পরে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে এবং তার সাথে থাকা প্রায় ৭/৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পুলিশ তাদের বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীদের হামলায় সদর থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুস সোবাহান গুরুতর আহত হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খান আরো অভিযোগ করে জানান, নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে তাকে পরাজিত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের হামলা করছে সন্ত্রাসীরা।
ঘটনাস্থলে থাকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ইরান জানান, নৌকা মার্কার প্রার্থী ও সমর্থকদের হত্যা করার জন্যই সন্ত্রাসীরা এ হামলা করেছে। সন্ত্রাসীরা তাদের উপর গুলি করে এবং বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপস্থিত আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা ছোটা-ছুটি শুরু করলে সন্ত্রাসীদের হামলায় আওয়ামীলীগের সমর্থিক নৌকা মার্কার প্রার্থী ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ খানসহ ৬ জন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী আহত হয়।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তন্ময় মজুমদার জানান, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিজান শেখ ও মুনান খান উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।