মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
হাসিবুল হাসান
পিরোজপুরে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে এহসানের গ্রুপের কাছে জমাকৃত টাকা ফেরত পাওয়ায় জন্য মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী সদস্য ও কর্মীরা। আজ রোববার সকালে পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে এহসান গ্রুপের কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগী নারী ও পুরুষদের অংশ গ্রহনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত সদস্যরা জানান, পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বর সংলগ্ন অবস্থিত কার্যালয় ‘এহসান গ্রুপ’এর উদ্যোগে অধিক মুনফা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ১২ হাজার মাঠকর্মী (এফও) নিয়োগ দেন। ওই সব মাঠকর্মীদের মাধ্যমে জেলা ও জেলা পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট, ঝালকাঠী, বরগুনা ও পটুয়াখলীর প্রায় লক্ষাধীক গ্রহকের কাছ থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। প্রথম দিকে কিছু গ্রাহককে মুনফা দিলেও গত দু’বছর ধরে তাদের মুনফা প্রদান বন্ধ করে দেন। বর্তমানে গ্রহকদের টাকা ফেরত চাইতে গেলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান রাগীব আহসান, রাগীব আহসানের শ^শুর প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা মাওলানা শাহ-আলম, রাগীব আহসানের ভাই আবুল বাশার . রাগীব আহসানের বোনের স্বামী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নাজমুল সহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, শামিম খান, খাইরুল ইসলাম সদস্যদের টাকা না দিয়ে নানা ভাবে প্রতারণা করছে।
অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জামানত সংগ্রহকারী ফিল্ড অফিসার (এফও) ও পুজি ফেরত পাওয়ার জন্য আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম, ফিল্ড কর্মী মাওলানা মো. হারুন অর রশিদ, মো, জালাল উদ্দিন, সার্জেন্ট আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
জেলার সদর উপজেলার জুজখোলা গ্রামের মো. মোস্তফা কামাল জানান, তার ২০ লাখ টাকা এহসানের কাছে ব্যবসার জন্য জমা দেয়া। কিন্তু এহসান গ্রুপে গত ২ বছর ধরে তার টাকার জন্য পাওয়া কোন টাকা দিচ্ছে না। এমন কি জমা দেওয়া মূল টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। তিনি এখন চরম অসহায়।
পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের অসহায় ফেরদাউস মোল্লা জানান, ব্যবসার জন্য তার এক লাখ টাকা জমা দেয়া। তিনি কোন ব্যবসার টাকা পাচ্ছেন না।
গ্রাহকদের টাকা উদ্ধার কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ওই এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রতারক রাগীব আহসানের প্রতিষ্ঠিত ‘এহসান রিয়েল এস্টেট এন্ড বিল্ডার্স লিমিটেড ও নুরে মাদিনা’ নামে পৃথক ২ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ ১৬টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি গ্রাহকের ওই টাকা জমা নিয়ে তা আত্মসতের উদ্দেশ্যে বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।তা ছাড়া তিনি গ্রাহকের টাকা নিয়ে তা বিদেশে পাচার করেছেন। বিভিন্ন সময় ওই টাকা ফেরত দেয়ার তারিখ দিয়েও তিনি তা ফেরত দিচ্ছেন না। এমন কি প্রশাসনের সাথে প্রতারনা করে তার ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা বিভিন্ন সম্পদ তার নিকট আত্মীয় সহ ঘনিষ্ট জনের নামে লিখে দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান মাওলানা রাগিব আসহানের জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধীক বার ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এমন কি তার কার্যালয়ের গিয়ে দেখা করতে চাইলে গেট বন্ধ পাওয়া যায়।