মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে পৌর শহরের ছোট কানুয়া গ্রামে শিরিন মঞ্জিল থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস মুনমুন (২৮) নামের এক কণ্যা শিশু সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। সে ভা-ারিয়া বাজারে ইলেট্রনিক্স ব্যবসায়ী সুমনের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মেয়ে।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তার (নিহত মুনমুন ) স্বামী সুমন হাওলাদার, শ্বাশুরী শিরিন বেগম, ননদ নুপুর আক্তারকে আটক করেছে। শ্বশুর সোহরাব হোসেন হাওলাদার পলাতক। সোহরাব হোসেন হাওলাদার উপজেলার ৪নম্বর ইকড়ি ইউনিয়নের হেতালিয়া গ্রামের মৃত আলতাফ হাওলাদার এর ছেলে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, গত ৫ বছর আগে ভা-ারিয়া পৌর শহরের কানুয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদারের সঙ্গে মুনমুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই মুনমুনকে তার স্বামী ও তার স্বজনরা মারধর করত। তার সাড়ে তিন বছরের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে। সোমবার সকালে সুমনের এক প্রতিবেশী মুনমুনের বোন ¯িœগ্ধাকে জানান, তার বোনের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তাকে উদ্ধার করার জন্য বলা হয়। পরে তারা এসে থানা পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘরের ভেন্টিলেটর এর সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ভা-ারিয়া থানায় নিয়ে যায়।
মুনমুনের বোন ¯িœগ্ধার জানান, তার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একটি চেয়ারের ওপর দাড়িয়ে কেহ ভেন্টিলেটর হাত দিয়ে ধরা সম্ভব নয় ?
এ বিষয়ে ভা-ারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: মাসুমুর রহমান বিশ^াস জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য একটি জিডি করা হয়েছে। মৃতের পরিবার থেকে মামলা করা হলে পরবর্তীতে তদন্দ পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃত মুনমুনের স্বামী সুমন তার বোন ও মাকে আটক করা হয়েছে।