মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
পিরোজপুরে এহসান গ্রুপে গ্রাহকের জমাকৃত টাকা ফেরৎ না দেয়ায় প্রতারক রাগীব অহসান ও তাদের ভাইদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছে জেলার নাজিরপুর উপজেলার ক্বারী মো. শামসুল হক। পিরোজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ৩ কোটি ৯৬ লক্ষ ৩হাজার ৯৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে আজ সোমবার দুপুরে জেলার নাজিরপুর উপজেলার ৩নং দেউলবাড়ি-দোবড়া,মালিখালী, কলারদোয়ানিয়া ও সদর নাজিরপুর ইউনিয়নের এহ্সান গ্রুপের একদল মাঠকর্মীরা এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এহসান গ্রুপের ভুক্তভোগী মাঠকর্মীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী ক্বারী মো. শামসুল হক এর ছেলে মাঠকর্মী মাওলানা মাসউদুর রহমান বলেন, সুদমুক্ত সমাজগড়ার কথা বলে এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাগীব আহসান বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামদের মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন। তার এ সুদবিহীন বিনিয়োগের দাওয়াতে উদ্ভুদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এফও রা টাকা এনে এহসানে জমা রাখেন। বিভিন্ন সময় টাকা ও লভ্যাংশ ফেরৎ চেয়ে না পেয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ৩ কোটি ৯৬ লক্ষ ৩হাজার ৯৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলাটি করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, উল্লেখিত ৪টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের প্রায় ৬ কোটি টাকার উপর জমা আছে এহসান গ্রুপের কাছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মাঠকর্মী মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামরা বলেন, আজ এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে, এলাকার ৩/৪টি মাদ্রাসা ইতোমধ্যে বন্ধহয়ে গেছে। এলাকার সাধারণ মুসুল্লিরা এইসব ইমামদের পিছনে নামাজও আদায় করতে চান না।
সংবাদ সম্মেলনে মাঠকর্মীরা প্রশাসন সহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবী জানান, এহাসানের এখনও স্থাবর অস্থাবর সম্পদ যা কিছু আছে অবিলম্বে সব বাজেয়াপ্ত করে সাধারণ গ্রাহকদের জমাকৃত টাকা ফেরৎ দেযা হোক।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর পিরোজপুর সদর উপজেলার রায়েরকাঠী এলাকার হারুণ অর রশীদ নামের এক ব্যক্তি পিরোজপুর সদর থানায় রাগীব এবং তার আরও চার ভাই আবুল বাশার, শামীম, মাহমুদুল হাসান এবং খায়রুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ৯৭ ব্যক্তির এহসানে গচ্ছিত ৯১ কোটি ১৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৩৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ওই দিন ঢাকা থেকে র্যাব রাগীব এবং তার আরেক ভাই আবুল বাশারকে এবং পিরোজপুর থেকে রাগীবের অন্য দুই ভাই মাহমুদুল হাসান ও খায়রুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ। তবে অন্য ভাই শামীম এখনও পলাতক রয়েছে।এই মামলায় আদালত গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাগীব এবং তার ভাইদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে রিমান্ড চলাকালীন সময় গত রোববার (১৯) সেপ্টেম্বর ৫টি মামলার মধ্যে ৪টি অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং অন্যটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশ (পিআইবি) তে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয় পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স।