মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন
“নৌকায় যদি ভোট দাও, এ দেশে থাকতে পারবি না, বউ-পোলাপান নিয়ে দেশে থাকতে পারবি না। প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে, প্রতিদিন রাতে মটোরসাইকেল মহোরা দিচ্ছে, হিন্দু মহিলাদের নানা রকম ভয় ভিতি দেখাচ্ছে।” কথা গুলো বলতেছিলো পিরোজপুর সদর উপজেলা শিকদারমিল্লক ইউনিয়নের ভোটার যদু নাথ দাস।
পিরোজপুর সদর উপজেলার শিকদারমিল্লক ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামে গতকাল রোববার গভীর রাতে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিস ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত এক ব্যবসায়ীর দোকান পুড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষরা বলে জানান শিকদারমিল্লক ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মো: শহিদুল ইসলাম।
শিকদারমিল্লক ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সদস্য যদু নাথ দাস আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নৌকা মার্কা যাকে দিকে আমরা তাকে ভোট দিবো। কিন্তু স্থানীয় একটি মহল স্থানীয় ও ইউনিয়নের বাহিরের সন্ত্রাসী বাহিনী এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষদের নানা ভাবে নৌকায় ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও প্রশাসন তেমন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
ব্যবসায়ী সবুজ মন্ডল অভিযোগ করে জানান, নৌকা মার্কার সমর্থন হওয়ার কারণেই তার দোকানের পাশে থাকা নৌকা মার্কার নির্বাচনী অফিস ও তার দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃত্তরা। গভীর রাতে আগুন দেওয়ার করাণে কেউ আগুন নিভাতে পারে নাই। দোকান সহ দোকানের সকল মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে। এ প্রায় তার ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শিকদারমিল্লক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কমল কৃষ্ণ দাস জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের ভয় দেয়ার জন্যই এ আগুন গুলো দেয়া হয়েছে। যাতে করে তারা নৌকা মার্কা ভোট দিতে ভয় পায়। তাই ভোটারদের নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী করেছেন।
আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মো: শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় প্রশাসক তাদের সাথে বিরোধী দলের মতো আচারণ করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনরে উপর হুমকির কথা প্রশাসনকে জানালেও প্রশাসন তেমন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ইউনিয়নের বাহির হতে প্রতিদিন রাতে সন্ত্রাসীরা মটোরসাইকেল মহোরা দিচ্ছে। ভোটারদের ভয়-ভীতি ও হয়রানী করার জন্যই নৌকার প্রচারণা অফিস ও দোকানে আগুন দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ জ মো. মাসুদুজ্জামান জানান, দোকান ও নৌকা মার্কার প্রচারণা অফিসে আগুনের ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যেহেতু গভীর রাতে ঘটনা ঘটেছে তাই কারা এ করেছে তা সনাক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং পুলিশ জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে।