আহতরা হলেন- পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন কমিটির নির্বাহী সদস্য উপজেলার তেজদাসকাঠী এলাকার নজরুল ইসলাম খানের ছেলে নাদিম খান (৩৫) ও উত্তর কদমতলা এলাকার আব্দুর রহিম শেখের ছেলে মাসুদ শেখ (২৫)।
মাসুদ শেখ জানান, বুধবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খানের নেতৃত্বে তিনি সেই সভায় যোগ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কদমতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিহাব হোসেন ও তার ভাইপো বায়জীদ লোকজন নিয়ে এ হামলা চালায়।
কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান বলেন, “বুধবার সভায় লোক বেশি থাকায় হামলা করতে পারেনি। তাই আজ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিহাব ও তার ভাইপো বায়জীদের নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে নাদিমের হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করা হয়।
“নাদিমকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পরে খুলনা পাঠানো হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ২০/৩০টি ধারাল অস্ত্রের আঘাত দেখা গেছে।”
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরিফ হাসান বলেন, হামলায় আহত দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে হাত বিচ্ছিন্ন নাদিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
নাদিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত দেখা গেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কদমতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান শিহাব হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ জা মো. মাসুদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছেন তারা।