মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় কাঠ মিস্ত্রী স্বামীর হাতুড়ি পেটায় আয়শা বেগম(৩২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় গুরুতর আহত গৃহবধূ বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী কাঠ মিস্ত্রী মামুন খান কে (৪০) গ্রেফতার করেছে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের রূপনগর আবাসিক এলাকায়।
থানা ও নিহত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার বকশীর ঘটিচোরা গ্রামের মৃত হযরত আলী প্যাদার মেয়ে আয়শা বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের মৃত মজিদ খানের ছেলে মামুন খানের সাথে ১৫ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। গত ১০ বছরধরে এ দম্পতি তাদের তিন সন্তান নিয়ে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের রূপনগর মহল্লায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলো।
মামুন পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী। গত দুই বছর ধরে সে একই মহল্লায় বসবাসরত তানিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এ পরকীয়ার জের ধরে মামুন ও আয়শা দম্পতির মাঝে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলে আসছিলো। সোমবার সকালে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে মামুন খান হাতুড়ি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। আহত স্ত্রীর আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে আয়শাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে গুরুতর অবস্থায় তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত আয়শা বেগমের মা মমতাজ বেগম বাদি হয়ে মেয়ে জামাই মামুন খান ও তার কথিত প্রেমিকা তানিয়া আক্তারকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মা মমতাজ বেগম মেয়ে হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, জামাইয়ের পরকীয়া সম্পর্কে বাঁধা দিতে গিয়ে তার মেয়ে হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম বাদল ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে দাম্পত্য কলহের জের ধরে মামুন খান স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করায় আয়শার মৃত্যু ঘটেছে । তিনি জানান, নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা জামাই সহ দুইজনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।