মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী সুমন শরীফের বিরুদ্ধে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিযুক্ত সুমন শরীফ কে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান ভান্ডারিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান বিশ^াস। গ্রেপ্তারকৃত সুমন শরীফ (৩৪) জেলার ভান্ডারিয়া পৌর শহরের কলেজ মোড় এলাকার আ:বারেক শরীফের ছেলে এবং দুই সন্তানের জনক। অন্ত:সত্ত্বা ওই মাদরাসা ছাত্রী স্থানীয় ভা-ারিয়া আল গাজ্জালি কামিল মাদ্রাসার আলিম ২ বর্ষের ছাত্রী।
মাদ্রাসা ছাত্রীর মা জানান, ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী সুমন শরীফ গত ১৮ ডিসেম্বর ওই মাদরাসা ছাত্রীকে বিনামূল্যে হাতে কলমে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কথা বলে তার অফিসে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠী গ্রামে তার বন্ধু মনির খলিফার ফাঁকা বাড়ীতে নিয়ে একাধীকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর মা আরো জানান, তার মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন এবং খাবার দাবারে অনিহা দেখে বিষয়টি পরিবারের সকলের কাছে ধরা পরে। তাই তাকে গত ২৭ এপ্রিল ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে ৪ মাস ১৪ দিনের অন্ত:সত্ত্ব বলে জানান।
ভা-ারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা রাণী ধর জানান, উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী সুমনের বিরুদ্ধে যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু এমনিতেই সে সাময়িক বরখাস্ত হবে এবং মামলার কপি হাতে পাওয়ার পরে আমাদের নিয়ম অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভান্ডারিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান বিশ^াস জানান এ ঘটনায় ওই মাদরাসা ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ভা-ারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামী মো. সুমন শরীফকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ভিকটিম (মেয়েটি) কে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।