মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুরের ৩টি ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যা ঘটনার পরবর্তী সময়ে দ্রæত এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। এ সম্পর্কে রবিবার সকালে পিরোজপুর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিষয়ে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিউর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১ সেপ্টেম্বর ভান্ডারিয়া থানার পৌর এলাকায় সাদিয়া আক্তার মুক্তা (১৮) হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার, ১৮ আগস্ট নাজিরপুর থানার বৈবুনিয়া গ্রামের কোমেলা বেগমকে (৪৫) ধর্ষন ও অর্থ আত্মসাতের জন্য হত্যা এবং ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় স্বর্ণালংকার নেওয়ার উদ্দেশ্যে পিরোজপুর পৌর এলাকার শিকারপুর গ্রামের হাসি রানী ঘরামী (৬০) হত্যা এর সকল ক্লু খুঁজে পেয়েছে জেলা পুলিশ।
উপস্থিত সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার জানান, গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় পিরোজপুর শহরের শিকারপুরে অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কমকর্তা সত্যেন্দ্রনাথ ঘরামীর স্ত্রী হাসি রানী ঘরামীকে গলায় ওড়না পেঁিচয়ে শ^াসরোধে হত্যা করে তার গলা ও কানের স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয় সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত চক্র। এ ব্যাপারে সত্যেন্দ্রনাথ সদর থানায় মামলা করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন তথ্যমতে শহরের ঝাটকাঠী গ্রামের মানিক শেখের ছেলে মো. রুবেল শেখকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে।
অপরদিকে, গত ১৮ আগস্ট নাজিরপুর উপজেলার বৈবুনিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. ওমর ফারুকের স্ত্রী কোমেলা বেগমকে (৪৫) রাত ৪টার দিকে ঘাতক বালিশ চাঁপা দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলে পুলিশ স্থানীয় ও ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাপক তল্লাশি মাধ্যমে গত ২৯ আগস্ট হত্যাকান্ডের মূল আসামী নিহতের প্রতিবেশি শাহজাহান সরদারের ছেলে মো. হাসান সরদারকে আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামী হাসান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং প্রবাসীর স্ত্রীর টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট করার জন্য তারা ঘরে প্রবেশ করে। ভিকটিম তাদের চিনে ফেলায় তারা বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে কোমেলা বেগমকে হত্যা করে।
এছাড়া গত ১ সেপ্টেম্বর ভান্ডারিয়া সদর উপজেলায় সাদিয়া আক্তার মুক্তা (১৮) নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী ও শ^াশুরীসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। স্বামী মুনিম জোমাদ্দার, মুনিমের মা ছবি বেগম এবং সহযোগী বন্ধু সিয়াম খান আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় বন্ধুদের সহযোগিতায় এ হত্যাকান্ড ঘটায় বলে জবানবন্দি দিয়েছে।